পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে জ্যোতি
শোবিজের প্রিয় মুখ জ্যোতিকা জ্যোতি। অভিনয়ের বাইরে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত তিনি। তার ফাঁকে রাজনীতিতেও সময় দেন এ অভিনেত্রী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য তিনি। এবার দেশের পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করেছেন জ্যোতিকা জ্যোতি। অভিনয় করেছেন একটি সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন চিত্রে। এমনটাই জানিয়েছেন জ্যোতি। তিনি জানান, ‘মুজিব বর্ষের আহ্বান, লাগাই গাছ বাড়াই বন’ এই প্রতিপাদ্য ধারণ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে সারা দেশব্যাপী এক কোটি বনজ, ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সেই কর্মসূচির প্রচারের লক্ষ্যেই বন অধিদপ্তর ১মিনিটের একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছে। তাদের অংশ নিয়েছেন তিনি। কুয়াকাটায় নির্মিত বিজ্ঞাপনটি পরিচালনা করেছেন ফাহিম মালেক ইভান। বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, ‘আমি এই বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছি। দেশের পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে অংশগ্রহন করতে পেরে আমি দারুন খুশী। ব্যক্তিগতভাবেও আমি পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কাজকর্মের সাথে যুক্ত আছি। তাই কাজটি আমি আমার দায়বদ্ধতা থেকেও করা।’ লাইট-ক্যামেরার বাইরে ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। এরই মধ্যে ‘খনা অর্গানিক’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন এ অভিনেত্রী। এরই মধ্যে ‘ঘৃতকুমারী’ ও ‘তৃপ্তি’ নামের দুটি খামার প্রস্তুত করেছেন খনা অর্গানিকের। ‘ঘৃতকুমারী’তে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন দেশীয় ফল ও ঔষধি গাছ। অন্যদিকে ‘তৃপ্তি’তে পালন হচ্ছে দেশী মুরগি। তারপর যাত্রা শুরু করেছে তার নতুন প্রতিষ্ঠান ‘রে হাউজ’। এটি মূলত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশি সিনেমার আলোকচ্ছটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘রে হাউজ’। চলচ্চিত্র প্রযোজনা ছাড়াও ডকুমেন্টারি, নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণ করা হবে এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে। ‘খনা অর্গানিক’ প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, করোনা মহামারির শুরুর দিকে মানুষের সঠিক স্বাস্থসেবার লক্ষ্যে রাসায়নিকমুক্ত, বিষমুক্ত খাদ্যপণ্য মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে ‘খনা অর্গানিক’র যাত্রা শুরু। এক বছরে আশাতীত ভোক্তা ও তাদের সমর্থনে আমরা এখন আরও বেশি উৎসাহিত। অন্যদিকে ‘রে হাউজ’ প্রসঙ্গে বলেন, দেশী চলচ্চিত্রে আন্তর্জাতিক বিপননের মাধ্যমে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারে অনুদানে নির্মিত ‘সাইকেল বালক’ সিনেমাটি আমরা পরিবেশনের দায়িত্ব নিয়েছি। এরই মধ্যে কলকাতার এসভিএফের কাছে সিনেমাটির ডিজিটাল রাইটস বিক্রি করেছি।